খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় মুঠোফোনে প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে কথা বলাই কাল হলো কিশোরী সুমাইয়া আক্তার সেতুর। অবশেষে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
তিনি বলেন, সুমাইয়ার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ নিয়ে দুলাভাই মঞ্জুর আলী সাগরের সঙ্গে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো তার। ১৬ জানুয়ারি রাতে সুমাইয়াকে প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখেন সাগর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমাইয়াকে আঘাত করেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাটিরাঙায় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুর রহমান মিয়া।
মামলার পর মঙ্গলবার রাত ২টার পর মাটিরাঙা বাজার থেকে সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন সাগর। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
১৬ জানুয়ারি রাতে খেদাছড়া আমবাগান এলাকা থেকে সুমাইয়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।